এই বিজয় উৎসব সঙ্কীর্ণতার
আলোকোজ্জ্বল, বর্ণোজ্বল, দীর্ঘ উৎসবটি শেষ হয়ে গেলো। লোকাচার মতে সকলকে শুভেচ্ছা জানানোর রীতিটি সুন্দর।মন খারাপ ও আনন্দের। মানুষের বৃহৎ আনন্দের গণ-উৎসবগুলি মূলত ধর্মীয় । ফলত সাম্প্রদায়িক। হিন্দুধর্ম তার নিজের ভেতরে সাম্প্রদায়িক। ফলত আরও সাম্পদায়িক। এই বিজয় উৎসব সঙ্কীর্ণতার । ব্রাহ্মন্যবাদের সংরক্ষণের। রেসিস্ট কাহিনী-গাথার। অনার্যকে হত্যা করার, অন্ত্যজকে হত্যা করার আনন্দ-উৎসব। পুরাণ থেকে লোকাচার পর্যন্ত যথেষ্ট অদল বদলেও এর কোনও পরিবর্তন আসেনি। বাংলার দুর্গাকে মাছ, পাঁঠা আমিষ খাও য়াতে পারলেও, হুদুরদুর্গার হাহাকার কেউ কোনও দিন গ্রাহ্য করেননি। তার বুকে ত্রিশূল ছুঁইয়ে রক্তপ্রবাহকে অনর্গল করে রাখা হয়েছে। তাদেরই কোন কোন উত্তর-বংশকে মজুর খাটিয়ে, তাদেরই ঘাড়ে চেপে এই রক্তাক্ত হুদুরদুর্গা ভুয়ো 'আর্য'দের বাড়ি পুজো পেতে আসেন। তিনি অশুভ শক্তির প্রতীক। আর্যা তাকে হত্যা করায় পূজিত হতে পারছেন।আর্যার হাতে মুক্তি। এই আর্যা-নারীর পুজোয় নারীরা ব্রাত্য থেকেছেন। থাকেন। অন্ত্যজ, অব্রাহ্মণ ও নারীদের পৌরোহিত্যের অধিকার নেই। অন্ত্যজদের অধিকার আছে কায়িক শ্রমে। নারীদের জোগাড় সম্পর্কীয় কাজে।